রেডিয়াম ব্রোমাটাম ডাইলুশন

রেডিয়াম ব্রোমাটাম হল তেজস্ক্রিয় উপাদান রেডিয়াম থেকে তৈরি একটি হোমিওপ্যাথিক প্রতিকার। এটি গাউট এবং বাত রোগের জন্য কার্যকর। এটি ত্বকের লক্ষণগুলির উপরও দুর্দান্ত প্রভাব ফেলে

ডাঃ রেকওয়েগ রেডিয়াম ব্রোমাটামের কারণ ও লক্ষণ

• দীর্ঘস্থায়ী রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অস্টিওআর্থারাইটিস, স্পন্ডিলোসিস এবং গাউটের মতো বিভিন্ন বাতজনিত অবস্থার জন্য রেডিয়াম ব্রোমাটাম একটি প্রধান প্রতিকার।
• এক্স-রে বা রেডিয়াম থেরাপির খারাপ প্রভাবের কারণে বাত হয়। শরীরের সমস্ত জয়েন্টগুলি প্রভাবিত হয়।
• এটি সারা শরীরে বিশেষ করে হাঁটু এবং গোড়ালিতে তীব্র ব্যথার ব্যথা উপশম করে।
• পায়ে, বাহুতে এবং ঘাড়ে ব্যথা হওয়া এবং ক্লান্ত বোধ করা, শক্ত এবং ভঙ্গুর বোধ করা যেন তারা চলতে চলতে ভেঙে যায়।
• এটি ঘাড়ের পিছনে কাঁধের মধ্যে এবং লম্বো-স্যাক্রাল অঞ্চলে খোঁড়া হওয়ার জন্য দরকারী।
• সার্ভিয়াল কশেরুকাতে ব্যথা, মাথা সামনের দিকে বাঁকানো এবং দাঁড়ানো বা সোজা হয়ে বসে থাকা আরও খারাপ। নেফ্রাইটিস বাতজনিত উপসর্গের সাথে সম্পর্কিত রেডিয়াম ব্রোমাটাম নির্দেশ করে।
• দুর্বলতা, অলসতা এবং দুর্বলতা আছে যা রেডিয়াম ব্রোমাটাম দ্বারা উপশম হয়।
• রেডিয়াম ব্রোমাটাম ত্বকের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে উপকারী। আগুনের মতো ত্বক পুড়ে যাওয়ার সাথে তীব্র চুলকানি হয়। স্রোতের সাথে মুখে চুলকানি, শেভ করার সময় আরও খারাপ। কপাল ও বুকে ছোট ছোট পিম্পল।
• রেডিয়াম ব্রোমাটাম কেলোয়েড, পিগমেন্টেড মোল, ব্রণ রোসেসিয়া, কর্নস এবং আলসারে বিলম্বিত নিরাময়ের প্রবণতা সহ সাহায্য করে।
• রেডিয়ামের সংস্পর্শে আসার কারণে এবং এক্স-রে পোড়ার কারণে হাতের দীর্ঘস্থায়ী একজিমেটাস ডার্মাটাইটিস। প্রুরিটাস ভালভা, উষ্ণ স্নানের পরে ভাল। ফাটল, ফাটল চুলকায় এবং হিংস্রভাবে জ্বলে।

মাথা

রেডিয়াম ব্রোমাটাম ভার্টিগোতে উপকারী, মাথার পিছনে ব্যথা সহ, বিছানায় থাকলে বাম।

ডান চোখের ওপরে প্রচণ্ড ব্যথা, occiput এবং শীর্ষবিন্দু পর্যন্ত ছড়িয়ে, খোলা বাতাসে ভাল।

এটি সামনের মাথা ব্যথা উপশম করে।

মুখ

মুখের শুষ্কতা, ধাতব স্বাদ, জিহ্বার প্রান্তে কাঁটাচামচের অনুভূতি রয়েছে।

পেট

পেটে খালি অনুভূতি, পেটে উষ্ণ অনুভূতির ক্ষেত্রে রেডিয়াম ব্রোমাটাম নির্দেশিত হয়। মিষ্টি, আইসক্রিমের প্রতি ঘৃণা। বমি বমি ভাব এবং ডুবে যাওয়া, গ্যাসের ঝাঁকুনি উপশম হয়।

পেট

রেডিয়াম ব্রোমাটাম ব্যথা, হিংস্র ক্র্যাম্প, গর্জন, গ্যাসে পূর্ণ উপশম করে; ম্যাকবার্নির পয়েন্টে এবং সিগমায়েড ফ্লেক্সারের অবস্থানে ব্যথা।

পেট ফাঁপা, বিকল্প কোষ্ঠকাঠিন্য এবং আলগা নড়াচড়ার অভিযোগে এটি উপকারী।

প্রস্রাব

কঠিন পদার্থ, বিশেষ করে ক্লোরাইডের বর্ধিত বর্ধন রয়েছে।

এটি কিডনি জ্বালা উপশম করে, বাতের উপসর্গ, Enuresis সহ নেফ্রাইটিসে দরকারী।

মহিলা

এটি প্রুরিটাস ভালভাতে ভালভাবে নির্দেশিত।

এটি বিলম্বিত এবং অনিয়মিত ঋতুস্রাব এবং পিঠের ব্যথায় উপকারী।

রেডিয়াম ব্রোমাটাম যখন প্রবাহ শুরু হয় তখন পিউবের উপর পেটে ব্যথার ব্যথা উপশম করে। ডান স্তনে কালশিটে, শক্ত ঘষলে উপশম হয়।

শ্বাসযন্ত্রের

সুপ্রাস্টারনাল ফোসায় সুড়সুড়ি সহ অবিরাম কাশি।

এটি শুষ্ক, স্প্যাসমোডিক কাশি, গলা শুষ্ক, কালশিটে, বুক সংকুচিত হলে উপকারী।

পেছনে

রেডিয়াম ব্রোমাটাম ঘাড়ের পিছনের ব্যথা উপশম করে।

সার্ভিকাল কশেরুকার ব্যথা এবং পঙ্গুত্ব, মাথা খারাপ করে সামনের দিকে নামানো, ভালভাবে দাঁড়ানো, বা খাড়া হয়ে বসে থাকলে তা উপশম হয়।

এটি কাঁধ এবং কটিদেশীয় অঞ্চলের মধ্যে পিঠের ব্যথা উপশম করতে কার্যকর, হাঁটার পরে আরও ভাল।

অঙ্গপ্রত্যঙ্গ

রেডিয়াম ব্রোমাটাম সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, জয়েন্টগুলোতে, বিশেষ করে হাঁটু এবং গোড়ালিতে তীব্র ব্যথা, কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙ্গুলের তীব্র ব্যথা উপশম করে।

পা, বাহু এবং ঘাড় শক্ত এবং ভঙ্গুর বোধ করে, যেন তারা চলতে চলতে ভেঙে যাবে, বাহু ভারী বোধ করে।

চামড়া

রেডিয়াম ব্রোমাটাম ছোট ছোট পিম্পল, এরিথেমা এবং ডার্মাটাইটিসের অভিযোগে নির্দেশিত হয়, চুলকানি, জ্বলন, ফোলা এবং লালভাব সহ।

এটি নেক্রোসিস এবং আলসারেশনেও সহায়ক এবং এটি সারা শরীরে চুলকানি, ত্বকের পোড়া উপশম করে।

Radium Bromatum এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

• এই ধরনের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে প্রতিটি ওষুধ দেওয়া নিয়ম মেনে খেতে হবে।
• আপনি অ্যালোপ্যাথি ওষুধ, আয়ুর্বেদিক ইত্যাদির মতো অন্যান্য ওষুধে থাকলেও ওষুধ খাওয়া নিরাপদ।
• হোমিওপ্যাথিক ওষুধগুলি কখনই অন্য ওষুধের ক্রিয়াকলাপে হস্তক্ষেপ করে না।

ড. রেকওয়েগ রেডিয়াম ব্রোমাটাম গ্রহণের সময় ডোজ এবং নিয়ম

• দিনে তিনবার আধা কাপ পানিতে 5 ফোঁটা নিন।
• এছাড়াও আপনি গ্লোবুলসের ওষুধ খেতে পারেন এবং দিনে 3 বার বা চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী নিতে পারেন।
• আমরা আপনাকে চিকিত্সকের নির্দেশনার অধীনে নেওয়ার পরামর্শ দিই।

ডঃ রেকওয়েগ রেডিয়াম ব্রোমাটাম গ্রহণ করার সময় সতর্কতা

• আপনি যখন ওষুধ খান তখন খাবারের আগে বা পরে সর্বদা 15 মিনিটের ব্যবধান রাখুন।
• গর্ভবতী বা বুকের দুধ খাওয়ানো হলে, ব্যবহারের আগে হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সককে জিজ্ঞাসা করুন।
• ওষুধ খাওয়ার সময় তামাক খাওয়া বা অ্যালকোহল পান করা এড়িয়ে চলুন।